Hsrf_logo

HSRF – Homoeopathy Study And Research Foundation

গতকাল সোমবার HSRFএর ডা. ফারুক হোসেনের সাথে তারই বন্ধু ডা. মোঃ রাইসুল ইসলাম খান মিরপুর থেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওনাদেরকে বসিয়ে রেখে কয়েকজন রোগী দেখে নিলাম।
রোগী দেখা শেষে মেহমান ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করছি। এরই মধ্যে মেহমান ডা. মোঃ রাইসুল ইসলাম খান জিজ্ঞেস করলেন, রেকের ওষুধগুলো কিছু সোজা করে আবার কিছু উপুড় করে রাখার কারণ কি?
সে সময় আমার পাশে কয়েক জন ডাক্তার ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই এর কারণ জানতেন। কয়েকজন দেখলাম এর কারণ বলতে পারছে না। তাই ভাবলাম, এর একটি লেখা দেয়া দরকার। তাই আপনাদের এ ব্যাপারে জানাবার চেষ্টা করছি।

ক. এভাবে না রাখলে যে সব অসুবিধা:

১. ওষুধের শক্তি বৃদ্ধি করে ভিজা অবস্থায় রেখে দিলে বড়িগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি লেগে যাবে।
২. রোগীর জন্য ওষুধ তৈরির সময় একের অধিক বড়ি পড়ে যাবে।
৩. শিশির গায়ে লেগে গেলে প্রয়োজনের সময় বের করা যাবে না।
৪. শিশির গায়ে লেগে গেলে একটি বড়ি ডালার সময় একাধিক বড়ি পড়ে যাবে।

খ. এভাবে রাখলে যে সব সুবিধা:
১. বড়িগুলো একটির সঙ্গে আর একটি লাগবে না।
২. ব্যবহারের সময় দ্রুত একটি বড়ি বের করা যাবে।
৩. বড়িগুলো গলে যাবে না, শুকনো থাকবে।

গ. কতদিন উপুড় করে রাখবেন:
১. বড়িতে শক্তি তৈরি করার পর সাথে সাথে ঝাঁকিয়ে তরলটি বড়িতে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর উপুড় করবে।
২. প্রথম ধাপে ৬ ঘন্টা পর পর ২ বার নাড়াতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ধাপে ১২ ঘন্টা পর পর ২ বার নাড়াতে হবে।
৪. তৃতীয় ধাপে দিনে একবার করে ২ দিন নাড়াতে হবে।
৫. চতুর্থ ধাপে ২/৩ দিন পর পর ৩ বার নাড়াতে হবে।
৬. পঞ্চম ধাপে প্রতি মাসে একবার করে নাড়াতে হবে।

এই নিয়মে ওষুধগুলো নাড়ার মধ্যে রাখলে, বড়ি কখনও গলবে না বা একটি অন্যটির সঙ্গে লেগে যাবে না।

লেখক- ডা. ফারুকী
০১৭১১০৩৯২৩৯