Hsrf_logo

HSRF – Homoeopathy Study And Research Foundation

রোগীলিপিতে হাত-পায়ের ব্যথায় যা জানতে হবে

১। কোন অঙ্গে:
আপনার হাত-পায়ের ব্যথা যে অঙ্গে, সেটা কি সম্পূর্ণ অঙ্গটিতে নাকি অঙ্গের বিশেষ কোন অংশে? যেমন-
উর্ধাঙ্গ:- অস্থিসমূহ, প্রসারক পেশীসমূহ, সঙ্কোচক পেশীসমূহ, সন্ধিস্থলে।
কাঁধ:- ত্রিকোণ পেশী, স্কন্ধসন্ধি প্রবদর্ধনে।
উপর বাহু:- অস্থিতে, দ্বিমূল পেশীতে, স্কন্ধসন্ধি প্রদেশে, ভিতর পার্শ্বে, বাহির পার্শ্বে, পশ্চাদ্ভাগে, ত্রিমূল পেশীতে।
কনুই:- কনুইয়ের বাঁকে, আলনা অস্থির প্রবদর্ধনে।
অগ্রবাহু:- প্রসারক পেশী, সঙ্কোচক পেশী, সম্মুখভাগ, পশ্চাদ্ভাগে, অস্থিসমূহের মধ্যে, প্রকোষ্ঠাস্থিতে, অস্থি আবরণ, কন্ডরাসমূহ, আলনা অস্থিতে, কব্জির নিকটে।
হাতের কব্জিতে:-পৃষ্ঠের দিকে, সম্মুখ দিকে, বাহির দিকে, প্রকোষ্ঠাস্থির পার্শ্বে, তর্জনী আঙ্গুল, আঙ্গুলের গাটঁ।
হাত:- পিঠের দিকে, হাতের ডিম্বাকার অংশে, অস্থিতে, সন্ধিস্থান সমূহে, হাতের তালু,প্রকোষ্ঠাস্থির পার্শ্ব।
আঙ্গুল:- আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে, অস্থিসমূহে, সন্ধিগুলোতে [প্রথম সন্ধি, দ্বিতীয় সন্ধি, তৃতীয় সন্ধি], ডগা, নখে [নখের নীচে, নখের চারপার্শ্বে, নখের গোড়ায়]।
প্রথম আঙ্গুল [সন্ধিস্থান (করতলাস্থি সংলগ্ন সন্ধি, মধ্যের সন্ধি), ডগা (প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় পর্ব)]।
দ্বিতীয় আঙ্গুল [সন্ধিস্থল(করতলাস্থি সংলগ্ন সন্ধি, মধ্যের সন্ধি), ডগা,নখ]।
তৃতীয় আঙ্গুল [সন্ধিস্থান(করতলাস্থি সংলগ্ন সন্ধি, মধ্যের সন্ধি), ডগা, নখ,পর্ব]।
চতুর্থ আঙ্গুল[সন্ধি(করতলাস্থি সংলগ্ন সন্ধি,মধ্যের সন্ধি),ডগা,নখ],
বৃদ্ধাঙ্গুলে [ডিম্বাকার অংশে, সন্ধিস্থানসমূহ, নখ, ডগায়]
নিম্নাঙ্গ:-
সায়োটিকা:- অস্থি, ভিতর পার্শ্ব, সন্ধিসমূহ।
কটিনিম্ন:- ত্রিকাস্থি প্রদেশে, নিতম্ব পেশী স্থানে, কুঁচকিতে।
উরুদেশে:- সম্মুখভাগ, সম্মুখভাগের নিম্নাংশ, হাড়, জঙ্ঘা সম্বন্ধীয় স্নায়ুতে, কুঁচকি, উরুর পশ্চাদ্ভাগের কন্ডরায়, ভিতরদিকে, মধ্যস্থানে, পশ্চাদ্ভাগে, বাহির দিকে, হাটুর উপরে, ভিতরাংশে।
হাটু:- গর্তকার অংশে, পায়ের তলায়, টিবিয়া অস্থিতে, পদাঙ্গুলি ও পায়ের গোছার মধ্যবর্তী অংশে, জানুপত্রাস্থিতে, পায়ের উপরের দিকে।
পা:- অস্থি, কন্ডরাসমূহ, গোড়ালির প্রধান কন্ডরায়, টিবিয়া অস্থিতে, পায়ের ডিমে।
গোড়ালি:- সম্মুখভাগে, ভিতর দিকে, বাহির দিকে, গুলফ প্রবর্দ্ধনে।
পায়ের পাতা:- পিঠের দিকে, অস্থিসমূহ, সন্ধিস্থানসমূহ, পার্শ্বে, পায়ের তলা, গোড়ালির তলা, গর্তকার অংশে।
পায়ের আঙ্গুল:- ডিম্বাকার অংশে, সন্ধিগুলোতে, নখে, ডগা, প্রথম পদাঙ্গুল, দ্বিতীয় পদাঙ্গুল, তৃতীয় পদাঙ্গুল, চতুর্থ পদাঙ্গুল, পঞ্চম পদাঙ্গুল।
২। কতদিন যাবত:
ক. রোগীর হাত-পায়ের ব্যথা যদি স্বল্প মেয়াদী হয় সেক্ষেত্রে রোগীকে ঘণ্টা/ দিন হিসেবে প্রশ্ন করতে হবে। যেমন- আপনার এই শরীর ব্যথা কয় ঘণ্টা বা কয়দিন যাবত।
খ. রোগীর হাত-পায়ের ব্যথা যদি দীর্ঘ মেয়াদী হয় তবে মাস বা বছর হিসাবে প্রশ্ন করতে হবে। যেমন- রোগী যদি দীর্ঘদিনের শরীর ব্যথায় ভোগলে সেক্ষেত্রে তাকে প্রশ্ন করতে হবে আপনার শরীর ব্যথা কত মাস বা কত বছর যাবত ? (২ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ৪ বছর)।
৩। স্থায়িত্বকাল:
আপনার হাত-পায়ের ব্যথার (কষ্টটির) স্থায়িত্ব কাল কি বলতে পারেন? যদি রোগী তার শরীর ব্যথার স্থায়িত্বকাল বলতে না পারে, তাহলে চিকিৎসক নিম্নের কৌশল প্রয়োগ করবেন, যেমন-
ক. কষ্টটি কি একটানা চলতে থাকে? নাকি কখনও থাকে, কখনও থাকে না?
খ.কষ্টটি যদি বিরতি দিয়ে শুরু হয় সেক্ষেত্রে কতদিন পর পর দেখা দেয়?
(কষ্টটি অনেক দিনের হলে রোগীকে মাস/ বছর দিয়ে সংকেত দিতে হবে। স্বল্প মেয়াদী হলে ঘণ্টা/ দিন দিয়ে সংকেত দিতে হবে)।
গ. কষ্টটি কতক্ষণ বা কতদিন স্থায়ী হয়? (ঘণ্টা/ দিন উল্লেখ করতে হবে)
ঘ. কষ্টটি সাধারণত কখন দেখা দেয়/ শুরু হয়? (ভোর থেকে শুরু করে পরবর্তী ভোর রাতেএর মধ্যে ঘণ্টাধরে সময় নির্ণয় করতে হবে)।
ঙ. যতদিন পর পর শুরু হয়, যতক্ষণ স্থায়ী হয়, যখন দেখা দেয়, এই সবগুলো নিয়মিত/ অনিয়মিত তা জানতে হবে।
চ. কষ্টটি স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে সময়ের বিরতির যে উল্লেখ করা হলো তা কি ওষুধ খেয়ে বা ওষুধ না খেয়ে তা জানতে হবে।
৪। বিস্তৃতি:
ক. আপনার হাত-পায়ের ব্যথা যেখানে শুরু হয়েছে সেখানেই থাকে নাকি অন্য কোন দিকে ছড়ায়?
খ. যে পাশে শুরু হয় সে পাশ থেকে বিপরীত পাশে ছড়ায় কিনা? যদি ছড়ায় সেক্ষেত্রে উৎপত্তির পাশেও কষ্টটি থাকে কিনা? যেমন: ডান পাশে শুরু হয়ে বাম পাশেও যায় কিন্তু বাম পাশে গেলে ডান পাশেও কষ্টটি থাকে এমন কিনা?
গ. যে পাশে কষ্টটি শুরু হয় সে পাশে থেকে বিপরীত পাশে ছড়ানোর পরে আবার উৎপত্তি পাশে ফিরে আসে কিনা? যেমন: ডানে শুরু হয়ে বামে ছড়ায় এবং পরে আবার ডানে ফিরে আসে কিনা।
ঘ. কষ্টটি প্রথমে কোন পাশে শুরু হয়? ডানে/ বামে।
ঙ. কষ্টটি আক্রান্ত সাব অঙ্গের ডান/ বাম/ উপরে/ নিচে/ সামনে/ পিছনে ছড়ায় কিনা?
যেমন: শরীরের ব্যথা ডান দিক থেকে বাম দিকে ছড়ায় কিনা?
চ. কষ্টটি যে অঙ্গের সাব অঙ্গে দেখা দেয় ঐ একই অঙ্গের অন্য কোন সাব অঙ্গে ছড়ায় কিনা? যেমন- কাঁধের ব্যথ হাতে ছড়ায় কিনা?
ছ. আক্রান্ত অঙ্গ থেকে অন্য কোন অঙ্গে ছড়ায় কিনা? যেমন- হাত-পায়ের ব্যথা বুকে ছড়ায় কিনা।
জ. পর্যায়ক্রমে উভয় পাশে কষ্টটি যাতায়াত করে কিনা? যেমন- একবার ডান পাশে একবার বাম পাশে, এভাবে চলতে থাকে কিনা?
ঝ. কষ্টটি আড়াআড়ি ভাবে ছড়ায় কিনা? যেমন- ডান হাত হতে বাম পায়ে ছড়ায়।
ঞ. ভিতর হতে বাহিরের দিকে, যেমন- পায়ের অস্থির ব্যথা মাংশ পেশিতে ছড়ায় কিনা?
ট. বাহির হতে ভিতর দিকে ছড়ায় কিনা, যেমন- পায়ের মাংশ পেশিতে ব্যথা শুরু হয়ে অস্থিতে ছড়ায় কিনা?
ঠ. কষ্টটি উপর হতে নিচের দিকে ছড়ায় কিনা? যেমন- কোমরের ব্যথা পায়ের নিচের দিকে ছড়ায় কিনা?
ড. কষ্টটি নীচ হতে উপর দিকে ছড়ায় কিনা? যেমন- পায়ের গোড়ালির ব্যথা কোমরে ছড়ায় কিনা?
৫। প্রকাশ ও অনুভূতি:
ক. হাত-পায়ে ব্যথার প্রকাশ-
১. আকৃতিগত- আপনার আক্রান্ত স্থানটি
= ফুলে যাওয়া/ মোটা হয়ে যাওয়া।
= শুকিয়ে যাওয়া/ চিকন হয়ে যাওয়া
= কুঁচকে যাওয়া/ সংকোচিত হয়ে যাওয়া
এমন কিছু হয়েছে কি?
২. বর্ণগত – আক্রান্ত স্থানের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
যেমন- লাল হওয়া, কালো হওয়া (বে নি আ স হ ক লা) ইত্যাদির মধ্যে আপনার কোনটি হয়েছে?
খ. হাত-পায়ে ব্যথার অনুভূতি- আপনার আক্রান্ত স্থানটি
১. শক্ত/ নরম: আক্রান্ত স্থানটি শক্ত/ নরম কিনা তা দেখতে হবে।
২. গরম/ ঠান্ডা: আক্রান্ত স্থানটি গরম না ঠান্ডা তা দেখতে হবে।
৩. আপনার হাত-পা ব্যথার ধরণ কেমন বলতে পারেন? রোগী বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে রোগীকে কিছু ধরণ সম্পর্র্কে ধারণা দিতে হবে। যেমন-
১. অপ্রবল বেদনা
২. আকর্ষণ করার মতো
৩. আঘাত, যেন আঘাত লেগেছে
৪. আঁচড়ানোর ন্যায়
৫. উলা দিয়ে ঘষার মতো
৬. একটি গোঁজের ন্যায়
৭. কর্তনবৎ
৮. কর্তন করার মতো
৯. কন কন করে, মাড়িতে
১০. কন কন করে
১১. কর্ণমূল গ্রন্থিতে চিমটে ধরার মত
১২. কষিয়া ধরার মতো
১৩. কষে ধরার ন্যায়
১৪. কামড়ানোর ন্যায়
১৫. কামড়ান
১৬. কামড় বসানোর ন্যায়
১৭. কামড়ানির ন্যায়
১৮. কামড়ানোর ন্যায়
১৯. কিছু দিয়ে পেটানোর মত
২০. কেটে ফেলা হয়েছে যেন জিহŸাটি
২১. কেটে ফেলার মতো
২২. কোন কিছু ফুটানোর ন্যায়
২৩. কাঠি দিয়ে খোঁচানোর ন্যায় অনুভূতি
২৪. ক্ষতকর
২৫. ক্ষততা বোধযুক্ত, থেঁতলানোর ন্যায়, চাপের অনুভূতি
২৬. ক্ষতবৎ থেতলানোর মত স্পর্শ কাতর
২৭. ক্ষততাবৎ
২৮. ক্ষতবৎ, থেঁতলিয়ে যাওয়ার ন্যায়
২৯. ক্ষতের বেদনার ন্যায়
৩০. খনন
৩১. খনন করার ন্যায়
৩২. খনন করার মত
৩৩. খন্ড খন্ড হয়েছে
৩৪. খাঁজ কাটার ন্যায়
৩৫. খাল ধরার ন্যায়
৩৬. খিল ধরার ন্যায়
৩৭. খুলছে, যেন একবার খুলছে একবার বদ্ধ হচ্ছে
৩৮. খোঁচা মারার ন্যায়
৩৯. খোলা, যেন মাথাটা খোলা আছে এরুপ
৪০. গর্ত/খনন করার ন্যায়
৪১. গর্ত করার ন্যায়
৪২. গরম তরল পদার্থে ঝলসে যাওয়ার মত
৪৩. গোঁজ থাকার ন্যায়
৪৪. গোঁজ থাকার
৪৫. গোঁজ বিদ্ধ হওয়ার ন্যায়
৪৬. গোঁজ, যেন গোঁজ, খিল বা কীলক দ্বারা বিদ্ধ হচ্ছে
৪৭. গোঁজ, যেন একটি গোঁজ পোরা আছে
৪৮. গোঁজ, যেন গোঁজটি আকস্মাৎ জোরে ঢুকিয়ে দিয়ে ক্রমশ বেশি চাপ দেয়
৪৯. গোঁজ, যেন একটি গোঁজ রয়েছে এরূপ
৫০. চাঁচার ন্যায় বেদনা
৫১. চাঁচিয়া বাহির করার ন্যায়
৫২. চেঁচে ফেলার অনুভূতি
৫৩. চাপ দিচ্ছে এরূপ
৫৪. চাপনবৎ
৫৫. চাপনবৎ, জ্বালার সঙ্গে পর্যায় ক্রমে
৫৬. চাপিয়া সংকোচন করার ন্যায়
৫৭. চিমটি কাটার ন্যায়
৫৮. চিরিয়া ফেলার ন্যায়
৫৯. চিড়িক মারার ন্যায়
৬০. চিড়িক মারার মত
৬১. চুল ধরে টানছে এরুপ অনুভূতি
৬২. চূর্ণ করার ন্যায়
৬৩. চূর্ণ করার মতো, ভেঙ্গে গিয়েছে
৬৪. চূর্ণিত হওয়ার অনুভূতি
৬৫. ছড়িয়া যাওয়ার ন্যায়
৬৬. ছাল ওঠার ন্যায়
৬৭. ছাল ওঠার ক্ষতের ন্যায়
৬৮. ছিদ্র করার ন্যায়
৬৯. ছিন্নকর
৭০. ছিঁড়ে ফেলার ন্রায়
৭১. ছুরিকাঘাত করার মতো
৭২. ছুরিকাঘাতের ন্যায়
৭৩. ছুরিকাঘাতের ন্যায় অনুভূতি
৭৪. ছোট করে টিপে ধরার ন্যায়
৭৫. জ্বালাকর
৭৬. জ্বালাকর কর, তীব্র যন্ত্রণাকর
৭৭. জ্বালাকর কর,ছাল ওঠার ন্যায়, তীব্র যন্ত্রণাকর
৭৮. ঝাঁকুনি লাগার ন্যায়
৭৯. টানিয়া ছেড়ার ন্যায়
৮০. টেনে বড় করার ন্যায়
৮১. টেনে নিয়ে যাওয়ার মত
৮২. টেনে ধরার মত,অস্থির মধ্যে
৮৩. টেনে ধরার মতো
৮৪. টেনে ধরে রেখেছে এরুপ
৮৫. টেনে,যেন টেনে বের করছে এরুপ
৮৬. টিপিয়া ধরার ন্যায়
৮৭. টুংটাং শব্দ যে রুপ পিয়ানোর তার ছিড়লে হয়ে থাকে
৮৮. ঠোকর মারার ন্যায়
৮৯. তীব্র যন্ত্রণাকর
৯০. তীরবিদ্ধবৎ বেদনা
৯১. থেঁতলানোর মত/ থেৎলাইয়া যাওয়ার ন্যায়
৯২. দংশনবৎ
৯৩. দংশনের মত
৯৪. দংশন করার ন্যায়
৯৫. দাঁত দিয়ে কাটার ন্যায়
৯৬. নখ বসানোর ন্যায়
৯৭. পিষে চূর্ণ করার ন্যায়
৯৮. পুড়ে, যেন পুড়ে গেঁছে
৯৯. পেরেক, যেন একটি পেরেক বিদ্ধ করা হচ্ছে
১০০. ফেটে যাওয়ার মত অনুভূতি
১০১. ফেটে যাওয়ার ন্যায়
১০২. বর্শাবিদ্ধ করার ন্যায়
১০৩. বর্শা বিদ্ধ করার মতো
১০৪. বালি, যেন বালি পড়েছে
১০৫. বাইরের দিকে ঠেলিয়া বাহির হবার ন্যায়
১০৬. বিদ্ধ করার ন্যায়
১০৭. বিদীর্ণ করার ন্যায়
১০৮. বিহŸলকর, হতবুদ্ধিকর
১০৯. বিদীর্ণকর
১১০. বিদ্ধ করার ন্যায়
১১১. ভেঙ্গে যাওয়ার ন্যায় অনুভূতি
১১২. মচকে যাওয়ার ন্যায় অনুভূতি
১১৩. মরিচ লাগার ন্যায়
১১৪. মাছের কাঁটা, জিহŸা মূলে আটকে আছে,গেলার সময় এরূপ অনুভূতি
১১৫. মুঠো করে ধরার মতো
১১৬. মোচড়ানোর ন্যায়
১১৭. রন্ধ্রকর
১১৮. সংকোচন করার ন্যায়
১১৯. সংকোচিত হওয়ার ন্যায়
১২০. সূচীবিদ্ধকর
১২১. স্ক্রু বসানোর ন্যায় যাতনা
১২২. স্ক্রু বিদ্ধ করার ন্যায় হুলবিদ্ধকর।
৬। উৎপত্তির কারণ:
রোগীর হাত-পায়ের ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে রোগীকে যে সকল প্রশ্ন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো-
১. খোলা ঠান্ডা বাতাস হতে
২. সিড়ি দিয়ে উপরে উঠলে
৩. ঋতু পরিবর্তনের ফলে
৪. ঋতুস্রাব চাপাপড়া
৫. ভয় হতে
৬. ঝাঁকুনি হতে
৭. দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকা হতে
৮. যে পাশে চেপে শোয়া হয়
৯. মানসিক পরিশ্রম হতে
১০. অধিক সঞ্চালন হতে
১১. গোলমাল হতে
১২. দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে
১৩. দীর্ঘ সময় হাঁটলে
১৪. দীর্ঘ সময় বসে থাকলে
১৫. দীর্ঘ সময় পা গুটিয়ে বসে থাকলে
১৬. কুঁজো হয়ে কাজ করলে
১৭. দীর্ঘ সময় পানি/ ঠান্ডা পানিতে কাজ করলে
১৮. নদীর পাড়ে কাজ করলে
১৯. ভেজা স্থানে কাজ করলে
২০. রৌদ্রে কাজ করলে
২১. এসি/ নন এসিতে কাজ করলে
২২. ভারি কাজ করলে
২৩. দীর্ঘদিন খালি পেটে কাজ করলে
২৪. পরিশ্রম অনুযায়ী খাবার গ্রহণ না করলে
২৫. দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকলে
২৬. দীর্ঘ দিন মেঝেতে শুইলে
২৭. আদ্র আবহাওয়া
২৮. ঝড়ো আবহাওয়া
২৯. মেঘলা আবহাওয়া
৩০. শুষ্ক উষ্ণ আবহাওয়া
৩১. স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া
৩২. মদ্যপান
৩৩. তরুণ উদ্ভেদ প্রকাশের পর
৩৪. গনোরিয়া চাপা পড়ার পর
৩৫. অধিক পরিশ্রমের পর
৩৬. দেহ ঠান্ডা হলে
৩৭. আক্ষেপের পর
৩৮. অনিয়মিত ভাবে গোসল করা হতে
৩৯. রাতে গোসল করলে
৪০. ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল
৪১. অতিরিক্ত পানি দিয়ে গোসল
৪২. বৃষ্টিতে ভেজা
৪৩. স্থান পরিবর্তন করে গোসল করা
৪৪. পুকুর/ নদী/ সমুদ্রে গোসল করা
৪৫. ভেজা কাপড়ে অনেকক্ষণ থাকার ফলে
৪৬. অতিরিক্ত সঙ্গম করলে
৪৭. উত্তেজক ওষুধ খেয়ে সঙ্গম
৪৮. ভরা বা খালি পেটে সঙ্গম
৪৯. মায়াজম: সাইকোটিক
৫০. শারীরিক আঘাত: যেমন-
ক। হাঁড়ে
খ। মেরুদন্ড
গ। সন্ধিতে
ঘ। অঙ্গের প্রান্তে
ঙ। নার্ভে
চ। নরম অংশে
ছ। ভেতরের অংশে
জ। বাহিরের অংশে
ঝ। মাংস পেশীতে।
যখন সমস্যাটি দেখাদেয়-
১. ভোরের দিকে
২. জাগ্রত হলে
৩. ভোর ৪ টায়
৪. সকালে
৫. পূর্বাহ্নে
৬. মধ্যাহ্নে
৭. মধ্যরাত্রি পর্যন্ত
৮. অপরাহ্নে
৯. সন্ধ্যাকালে
১০. শুইবার পর
১১. রাতে
১২. মধ্যরাতে
১৩. মধ্যরাতের পূর্বে
১৪. মধ্যরাতের পরে
১৫. রাত্রি ২টা হতে ৩টা
১৬. শায়িত অবস্থায়
১৭. শীতাবস্থার আগে
১৮. শীতাবস্থার সময়
১৯. শীতাবস্থার পর
২০. স্ত্রী সঙ্গমের পরে
২১. খিচুনির পরে
২২. আহারের পর
২৩. সামান্য পরিশ্রমের পর
২৪. ঋতুস্রাবের পূর্বে
২৫. ঋতুস্রাবের সময়
২৬. ঋতুস্রাবের পর
২৭. ঠান্ডার পরে
২৮. অশ্বারোহন কালে
২৯. ঘুমের সময়
৩০. প্রস্রাবের পর
৩১. সঞ্চালন আরম্ভ করতে গেলে।
৭. সম্পর্কযুক্ত লক্ষণ:
এই হাত-পায়ের ব্যথার সাথে সম্পর্কিত নয়, কিন্তু রোগীর হাত-পায়ের ব্যথা বৃদ্ধি পেলে সাথে অন্য একটি রোগ, সমস্যা/ লক্ষণ দেখা দেয় তাকে সম্পর্কযুক্ত লক্ষণ বলে। রোগীর কাছ থেকে সম্পর্কযুক্ত লক্ষণ যেভাবে জানতে হবে: আপনার হাত-পা ব্যথার সাথে অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয় কিনা? যেমন-
ক. হাত-পা ব্যথার সাথে শরীরে দুর্বলতা/ কম্পন/ জ¦ালা পোড়া/ অস্থিরতা/ শীতবোধ।
খ. হাত-পা ব্যথার সাথে অঙ্গের অবসতা/ শীতার্ততা/ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া/ গরম হয়ে যাওয়া/ অনুভূতিহীনতা/ খিচুনি/ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
গ. হাত-পা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব/ বমি/ খাবারে অরুচি/ দুর্বলতা ইত্যাদি।
রোগের সাথে হাত-পা ব্যথা:
১. জ্বরের সময়
২. ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের সময়
৩৫. বক্ষরোগের সাথে
৩৬. উদরাময়ের সাথে
৩৭. অর্শরোগের সাথে
৩৮. হৃৎপ্রদেশে বেদনার সাথে
৩৯. ফুসফুস সংক্রান্ত পীড়ার সাথে
৮। বৃদ্ধি:
হাত-পায়ের ব্যথার বৃদ্ধি জানতে হলে রোগীকে যে সকল বিষয় সম্পর্র্কে প্রশ্ন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো, যথা-
১। দাঁড়ালে বাড়ে কিনা?
২। দাঁড়িয়ে থাকলে বাড়ে কিনা?
৩। দীর্ঘ সময় দাঁড়িলে থাকলে বাড়ে কিনা?
৪। হাঁটলে বাড়ে কিনা?
৫। দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে বাড়ে কিনা?
৬। প্রথম সঞ্চালনে বাড়ে কিনা?
৭। প্রথম সঞ্চালনের পরে বাড়ে কিনা?
৮। বসলে থাকলে বাড়ে কিনা?
৯। দীর্ঘক্ষণ বসলে থাকলে বাড়ে কিনা?
১০। সামনে ঝুঁকে বসলে বাড়ে কিনা?
১১। পিছনে বেঁকে বসলে বাড়ে কিনা?
১২। শুয়ে থাকলে বাড়ে কিনা?
১৩। চাপ দিলে বাড়ে কিনা?
১৪. হাত-পা ব্যথার বৃদ্ধির সময়:
ক. ভোর থেকে ভোর রাত এর মধ্যে বৃদ্ধির সময় নির্ণয় করতে হবে।
যদি দিনে হয়- (সকাল, দুপুর, বিকাল)
খ. আর রাতে হলে- (সন্ধ্যারাত, মধ্যরাত, শেষরাত)
এর মধ্যে যে সময় হোক না কেন নির্ধারিত সময়টি বের করে নিতে হবে।
১৫. ঠান্ডা পানিতে
১৬. পান করলে
১৭. নিদ্রার পর
১৮. ঝড়-বজ্রে
১৯. স্পর্শে
২০. উত্তাপে
২১. শয্যার উত্তাপে
২২. ঘুম থেকে জাগলে
২৩. ঘুমাইলে
২৪. বিছানায় গেলে
২৫. নিচে শোয়ার পর
২৬. নিচে শুইলে
২৭. খোলা বাতাসে
২৮. ঠান্ডায়
২৯. খাবারে
৩০. পানিতে
৩১. ঠান্ডায় গেলে
৩২. কাশির সময়
৩৩. খাবার পরে
৩৪. পরিশ্রমের পর
৩৫. ভয়ে
৩৬. হাটু গেড়ে বসলে
৩৭. ঋতুস্রাবের পূর্বে
৩৮. ঋতুস্রাবের সময়
৩৯. ঋতুস্রাবের শুরুর দিকে
৪০. মানসিক পরিশ্রমে
৪১. গোলমালে
৪২. বিশ্রামে
৪৩. ঠান্ডা স্থানে হঠাৎ প্রবেশে
৪৪. গরমে
৪৫. ঠান্ডা আবহাওয়া
৪৬. শীতকালে
৪৭. গরমকালে
৪৮. বর্ষাকালে
৪৯. ঝড়ো আবহাওয়ায়
৫০. মেঘলা আবহাওয়ায়
৫১. আর্র্দ্র্র আবহাওয়ায়
৫২. শুষ্ক আবহাওয়ায়
৫৩. উষ্ণ আবহাওয়ায়
৫৪. ঠান্ডা আবহাওয়ায়
৫৫. স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায়
৫৬. অমাবস্যা ও পূর্ণিমায়।
৫৭. উত্তাপাবস্থায়/ উত্তাপাবস্থার পরে/ উত্তাপাবস্থার পূর্বে/ উত্তাপের পরিবর্তনে
৫৮. বিছানার উত্তাপে
৫৯. রৌদ্রে/ সূর্যের উত্তাপে
৬০. চুলার উত্তাপে
৬১. গরম স্যাঁকে
৬২. শীতাবস্থায়/ শীতাবস্থার পরে/ শীতাবস্থার পূর্বে
৬৩. ঠান্ডা বাতাসে/ ঠান্ডা লাগালে
৬৪. ঠান্ডা লাগানোর পরে
৬৫. দেহের কোন অংশে ঠান্ডা লাগালে
৬৬. গোসলে বৃদ্ধি
৬৭. ঠান্ডা পানিতে গোসলে
৬৮. অনিয়মিত গোসলে
৬৯. সমুদ্র স্নানে
৭০. বৃষ্টিতে ভিজলে
৭১. পানি/ স্থান পরিবর্তন করে গোসল করলে
৭২. গরম থেকে এসে গরম শরীরসহ গোসলে।
৭৩. ঠান্ডা বাতাসে
৭৪. ঠান্ডা পানি পানে
৭৫. পানি/ ঠান্ডা পানিতে কাজ
৭৬. নদীর পাড়ে কাজ করলে
৭৭. ভেজা স্থানে কাজ করলে
৭৮. ঠান্ডা স্থানে কাজ করলে
৭৯. ভারি কাজ করলে
৮০. কাজ/ পরিশ্রম না করলে
৮১. খালি পেটে/ ভরা পেটে কাজ করলে
৮২. পরিশ্রম অনুযায়ী খাবার গ্রহণ না করলে।
৮৩. অতিরিক্ত সঙ্গম করলে
৮৪. সঙ্গম করলে
৮৫. সঙ্গম এর সময়ে/ সঙ্গম এর পরে
৮৬. ভরা/ খালিপেটে সঙ্গম করলে।
৮৭. গর্ভাবস্থায়/ গর্ভাবস্থার পরে।
৮৮. কম হওয়া
৮৯. ঘুম না হলে
৯০. বেশি নিদ্রা
৯১. বাধাপ্রাপ্ত নিদ্রা।
৯। হ্রাস: হাত-পায়ের ব্যথার হ্্রাস জানতে হলে রোগীকে যে সকল বিষয় সম্পর্র্কে প্রশ্ন করতে হবে, তার জন্য বৃদ্ধির প্রশ্নগুলো করলেই চলবে।
১০। হাত-পায়ের ব্যথার পূর্বে কি চিকিৎসা করা হয়েছে:
আপনার হাত-পায়ের ব্যথার জন্য পূর্বে কোনো চিকিৎসা নিয়েছেন কিনা? যদি নিয়ে থাকেন তাহলে:
(১) সর্বশেষ যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সেই চিকিৎসায় ভালো থাকলে সেখানেই চলে যান।
(২) পূর্ববর্তী চিকিৎসকের অবস্থান দূরে হলে/ পূর্বের চিকিৎসায় উপকৃত না হলে চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।
(৩) রোগীর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে পূর্বের চিকিৎসক কোন পদ্ধতির ওষুধ ব্যবহার করতেন এবং ওষুধ সেবন পদ্ধতি কেমন ছিল?
(৪) সর্বশেষ কতদিন পূর্বে ওষুধ খেয়েছিল/ ওষুধ যখন খেয়েছেন তখন কেমন ছিলেন/ বর্তমানে কেমন আছেন। এসব কিছু।
(৫) পূর্বের চিকিৎসকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৬) অন্যপ্যাথি থেকে চিকিৎসিত রোগীদের সেই প্যাথি সম্পর্র্কে বিরূপ ধারণা দেওয়া যাবে না।
বিঃদ্রঃ অন্যপ্যাথি থেকে চিকিৎসিত রোগীদের চিকিৎসার শুরুতে নাক্স-ভমিকা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা, এইরূপ বদ্ধমূল ধারণা থেকে সরে যেতে হবে। প্রকৃত নিয়ম হলো রোগী তাৎক্ষনিক যে ওষুধের লক্ষণ নিয়ে এসেছে, সেই সময় ঐ ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে।

লেখক-ডা. ফারুকী
০১৭১১০৩৯২৩৯